সাভার প্রতিনিধিঃ
সাভারের আশুলিয়ায় পৃথক স্থান থেকে এক নবজাতক, নির্মাণ শ্রমিক ও এক তরুনীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে পৃথক দুটি ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১৯ জানুয়ারী) রাতে আশুলিয়ার নিরিবিলি, গাজিরচট ও পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা থেকে মরদেহ গুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহত নির্মাণ শ্রমিক মমিনুর রহমান (৪৫) কুড়িগ্রাম সদর জেলার বালাপুর গ্রামে মৃত অলি মাহমুদের ছেলে। এছাড়া অপর ঘটনায় নিহত নারী গার্মেন্ট শ্রমিক শাহানাজ আক্তার (১৬) শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানার মিয়ারচর গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের মেয়ে। সে গাজীরচট আড়িআড়া মোড় এলাকার ফজলু বিশ্বাসের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় আনজির অ্যাপারেলস লিমিটেড লিংকিং সেকশন অপারেটর শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।
পুলিশ জানায়, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকার স্বপ্ন বিলাস প্রজেক্টের সপ্তম তলা বিশিষ্ট একটি নির্মাণাধীন ভবনে সাটারিংয়ের কাজ করছিলেন নির্মাণ শ্রমিক মমিনুর রহমান। এসময় চতুর্থ তলা থেকে অসতর্কতাবশত সে নিচে পড়ে যায়। পরে তার সহকর্মী অন্যান্য নির্মাণ শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মমিনুরকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
অপরদিকে পৃথক ঘটনায় গতকাল রবিবার রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচট এলাকার একটি বাড়ি থেকে ভাড়া বাসার নিজ কক্ষ থেকে শাহানাজ আক্তার নামে গার্মেন্ট শ্রমিক তরুনীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই তরুনী পরিবারের সাথে অভিমান করে নিজ কক্ষের সিলিংয়ের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার লাশ উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এছাড়া আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুতের পূর্ব ডেন্ডাবর এলাকার একটি নালা থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এঘটনায় কোন অভিযোগ না থাকায় লাশটি স্থানীয়দের তত্ত্বাবধানে দাফন করা হয়।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভবনে কাজ করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিক ও ঝুলন্ত তরুনী পোশাক শ্রমিকের আত্মহত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।